বৈদ্যপুর - আমার জন্মভূমি
বৈদ্যপুর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কালনা সাব-ডিভিসানের অন্তর্গত একটা ছোট্ট মিষ্টি গ্রাম। গ্রামটি ছোট্ট হলেও তার পুরানো বেশ কিছু সুন্দর ঐতিহ্যপূর্ণ টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ মন্দিরের জন্যে খুবই গর্বিত। কালের তীব্র আক্রমণ ও মানুষের চুড়ান্ত উদাসীনতা এই দুইয়ের মিলিত সমীকরণে বেশিরভাগ টেরাকোটার কাজ আজ ধ্বংশপ্রাপ্ত হয়েছে এবং বাকি মন্দিরগুলোও ধ্বংশপ্রাপ্তির মুখে। তবু এখনও যা দেখা যায় তা সত্যি সত্যিই বিস্ময়কর। মূল মন্দিরগুলির বিবরণ নীচে দেওয়া হ’ল।
জোড়া দেউলঃ- ১৫৫০ সালে শুভানন্দ পালের তৈরী জোড়া দেউল যা বর্তমানে ভারতের প্রত্নতাত্বিক সংস্থা দ্বারা সংরক্ষিত। দেউলের সদরের বহির্ভাগে রয়েছে ইঁটের কাজ। বড় মন্দিরটি পূর্বমুখী ও ছোটটি উত্তরমুখী। দুটো মন্দিরই একটা রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত। মন্দিরের দেওয়াল সূক্ষ্ম টেরাকোটার কাজ দিয়ে অলংকৃত যেখানে সামাজিক চিত্র ও হিন্দু মহাকাব্যের বিভিন্ন কাহিনী রয়েছে।
জোড়া শিব মন্দিরঃ- বাংলার স্বতন্ত্র মন্দির স্থাপত্যশিল্প - নবরত্ন ও আটচালার এক সুন্দর মিশ্রণ পাওয়া যাবে এই মন্দিরগুলিতে। বড় মন্দিরটি নবরত্ল ও ছোটটি আটচালা। দুটি মন্দিরই সুন্দর টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ কিন্তু তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ও জরুরি ভিত্তিতে এদের সংস্কার দরকার।
বুড়ে শিব মন্দিরঃ- মন্দিরটি সবথেকে বেশী অবহেলিত। সুন্দর টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ দেওয়াল বর্তমানে সিমেন্টের প্লাস্টার করা সাধারণ দেওয়ালে পরিনত হয়েছে কিন্তু সামান্য কিছু কাজ যা এখনও রয়ে গেছে যেখানে রামায়ন ও কৃষ্ণলীলার কাহিনী বিবৃত তা আজও অম্লান।
রাজরাজেশ্বর মন্দিরঃ- জমিদার বাড়ীর ভেতরে ছোট্ট কিন্তু বৈদ্যপুরের অন্যতম প্রধান বিষ্ণু বা নারায়ন মন্দির। মন্দিরের বিগ্রহ নারায়ন শিলা। একটা দুর্লভ ধরনের পাথরের তৈরী যেখানে সাতটি গর্তের মধ্যে সাতটি খাজকাটা চক্র রয়েছে যার নাম রাজ রাজেশ্বর চক্র।
এ ছাড়াও রয়েছে বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির, কৃষ্ণ মন্দির, রাসমঞ্চ ও অজস্র পুরানে রাজবাড়ী।
সর্বোপরি এই গ্রামের প্রতি আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে কারণ এই মিষ্টি গ্রাম আমার জন্মস্থান। আমার শৈশব কেটেছে এখানকার আমগাছ-জামগাছ, নিমতলা-বেলতলা, তালপুকুর-ঠাকুরপুকুর, রথতলা-রাসতলা, দোল, রাস, জগদ্ধাত্রী পুজো ইত্যাদির রস আস্বাদনে। সঙ্গে রয়েছে আমার অনেক ভাই-দাদা যাদের সঙ্গে ভালবাসার মোড়কে ছোটবেলার সুখ, দুঃখ, কান্না, হাঁসি, দুষ্টুমি ইত্যাদির অনেক ইতিহাস।
জোড়া দেউলঃ- ১৫৫০ সালে শুভানন্দ পালের তৈরী জোড়া দেউল যা বর্তমানে ভারতের প্রত্নতাত্বিক সংস্থা দ্বারা সংরক্ষিত। দেউলের সদরের বহির্ভাগে রয়েছে ইঁটের কাজ। বড় মন্দিরটি পূর্বমুখী ও ছোটটি উত্তরমুখী। দুটো মন্দিরই একটা রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত। মন্দিরের দেওয়াল সূক্ষ্ম টেরাকোটার কাজ দিয়ে অলংকৃত যেখানে সামাজিক চিত্র ও হিন্দু মহাকাব্যের বিভিন্ন কাহিনী রয়েছে।
জোড়া শিব মন্দিরঃ- বাংলার স্বতন্ত্র মন্দির স্থাপত্যশিল্প - নবরত্ন ও আটচালার এক সুন্দর মিশ্রণ পাওয়া যাবে এই মন্দিরগুলিতে। বড় মন্দিরটি নবরত্ল ও ছোটটি আটচালা। দুটি মন্দিরই সুন্দর টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ কিন্তু তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ও জরুরি ভিত্তিতে এদের সংস্কার দরকার।
বুড়ে শিব মন্দিরঃ- মন্দিরটি সবথেকে বেশী অবহেলিত। সুন্দর টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ দেওয়াল বর্তমানে সিমেন্টের প্লাস্টার করা সাধারণ দেওয়ালে পরিনত হয়েছে কিন্তু সামান্য কিছু কাজ যা এখনও রয়ে গেছে যেখানে রামায়ন ও কৃষ্ণলীলার কাহিনী বিবৃত তা আজও অম্লান।
রাজরাজেশ্বর মন্দিরঃ- জমিদার বাড়ীর ভেতরে ছোট্ট কিন্তু বৈদ্যপুরের অন্যতম প্রধান বিষ্ণু বা নারায়ন মন্দির। মন্দিরের বিগ্রহ নারায়ন শিলা। একটা দুর্লভ ধরনের পাথরের তৈরী যেখানে সাতটি গর্তের মধ্যে সাতটি খাজকাটা চক্র রয়েছে যার নাম রাজ রাজেশ্বর চক্র।
এ ছাড়াও রয়েছে বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির, কৃষ্ণ মন্দির, রাসমঞ্চ ও অজস্র পুরানে রাজবাড়ী।
সর্বোপরি এই গ্রামের প্রতি আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে কারণ এই মিষ্টি গ্রাম আমার জন্মস্থান। আমার শৈশব কেটেছে এখানকার আমগাছ-জামগাছ, নিমতলা-বেলতলা, তালপুকুর-ঠাকুরপুকুর, রথতলা-রাসতলা, দোল, রাস, জগদ্ধাত্রী পুজো ইত্যাদির রস আস্বাদনে। সঙ্গে রয়েছে আমার অনেক ভাই-দাদা যাদের সঙ্গে ভালবাসার মোড়কে ছোটবেলার সুখ, দুঃখ, কান্না, হাঁসি, দুষ্টুমি ইত্যাদির অনেক ইতিহাস।
Source : The above information is from my good friend Asit Mukhopadhyay. To see the pictures click here
No comments:
Post a Comment