শ্রীপুরের শ্রী
কাঠের ওপর খোদাই করা কাজের শতাব্দী প্রাচীন মন্দির ও নৌকা তৈরী করার কর্মশালা দেখতে হলে যেতে হবে হুগলী জেলার অন্যতম সুন্দর মন্দির প্রধান গ্রাম শ্রীপুরে | ইউরোপিয়ান ঔপনিবেশিকরা বাংলায় তাদের ব্যবসা ও শাষণকার্যের কেন্দ্র তৈরী করে বুঝেছিল যে এথানে কাজ করতে গেলে নৌ-পরিবহনের সাহায্য অপরিহার্য | নৌপথে তাদের ক্রমবর্ধমান ব্যবসাবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে রধুনন্দন মিত্র মুস্তাফি নামে এক ব্যক্তি অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে শ্রীপুরে গঙ্গার ধারে একটা পুরোপুরি নৌকা তৈরীর কারখানা স্থাপন করেন | মিত্রবাবু একটা ফোর্ট ও তার সাথে কাঠের ওপর খোদাই করা কাজের বেশ কিছু অপূর্ব মন্দিরও তৈরী করেন | ফোর্ট অনেকদিন আগেই ধ্বংশপ্রাপ্ত হয়ে গেছে কিন্তু কাঠের ওপর কাজ করা কিছু মন্দির এখনও অবশিষ্ট আছে |
শ্রীপুরের ভ্রমণ শুরু হয় রাস্তার ধারে অবস্থিত একটা ছোট্ট শিবমন্দির দিয়ে | একতলা এই মন্দিরের ভেতর একটা শিবলিঙ্গের মূর্তি রয়েছে | সামনেই রয়েছে একটা দোতলা দোলমঞ্চ | কাঠামোর মধ্যে পিলার ও সামনে ধনুকাকৃতি প্রবেশদ্বার পুরানো দিনের শ্রীপুরের ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় | এর পরেই রয়েছে জোড়া শিবমন্দির | মন্দিরের দেওয়ালগুলো এক সময় টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে সিমেন্টের প্লাস্টার করার ফলে দেখতে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে | কয়েক মিনিট হাঁটলেই পাওয়া যাবে একঝাঁক মন্দিরের দর্শণ | রয়েছে রাধাগোবিন্দের মন্দির | ভেতরে রয়েছে রাধাগোবিন্দ ও অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তি | সামনেই রয়েছে রাসমঞ্চ ও একটা নাটমন্দির | এখানকার মূল আকর্ষণ হচ্ছে চন্ডীমন্ডপ | মিত্র মুস্তাফির পরিবার এটা তৈরী করেন ১৭০৭ সালে ও বর্তমানে সংরক্ষিত মনুমেন্ট | দুঃখের বিষয় এটা যে খড়-তালপাতার তৈরী চন্ডীমন্ডপের ছাদ বর্তমানে ঢেউখেলানো টিন দিয়ে বদল করার ফলে মন্ডপের সৌন্দর্য ও মাধুর্য অনেকাংশে খর্ব হয়েছে | মন্ডপের ভেতর কিন্তু খুব সূক্ষ্ম কাঠের খোদাই করা প্যানেল এখনও রয়েছে | কাঠের তৈরী পিলার ও ছাদের বিমগুলোয় বিভিন্ন জ্যমিতিক আকার ও ফুল-লতাপাতার কাজ রয়েছে | মন্দির চত্বরে ৯টি চূড়ার অষ্টভুজী রাসমঞ্চ ও একটা নাটমন্দির দেখার মতন | মন্দিরের পর দেখা যেতে পারে নৌকা তৈরীর কারখানা | বর্তমানে যদিও ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা তৈরী হয় কিন্তু তা কিভাবে তৈরী হয় তা দেখার মজাই আলাদা | বয়স্ক মানুষজনেরা বাংলায় নৌকা তৈরীর ইতিহাস সম্মন্ধে খুব সুন্দর সুন্দর গল্প বলেন যা শুনলে আনন্দ ও জ্ঞান দুইই লাভ করা যায়
Source : The above information is from my good friend Asit Mukhopadhyay. To see pics click here
শ্রীপুরের ভ্রমণ শুরু হয় রাস্তার ধারে অবস্থিত একটা ছোট্ট শিবমন্দির দিয়ে | একতলা এই মন্দিরের ভেতর একটা শিবলিঙ্গের মূর্তি রয়েছে | সামনেই রয়েছে একটা দোতলা দোলমঞ্চ | কাঠামোর মধ্যে পিলার ও সামনে ধনুকাকৃতি প্রবেশদ্বার পুরানো দিনের শ্রীপুরের ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় | এর পরেই রয়েছে জোড়া শিবমন্দির | মন্দিরের দেওয়ালগুলো এক সময় টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে সিমেন্টের প্লাস্টার করার ফলে দেখতে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে | কয়েক মিনিট হাঁটলেই পাওয়া যাবে একঝাঁক মন্দিরের দর্শণ | রয়েছে রাধাগোবিন্দের মন্দির | ভেতরে রয়েছে রাধাগোবিন্দ ও অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তি | সামনেই রয়েছে রাসমঞ্চ ও একটা নাটমন্দির | এখানকার মূল আকর্ষণ হচ্ছে চন্ডীমন্ডপ | মিত্র মুস্তাফির পরিবার এটা তৈরী করেন ১৭০৭ সালে ও বর্তমানে সংরক্ষিত মনুমেন্ট | দুঃখের বিষয় এটা যে খড়-তালপাতার তৈরী চন্ডীমন্ডপের ছাদ বর্তমানে ঢেউখেলানো টিন দিয়ে বদল করার ফলে মন্ডপের সৌন্দর্য ও মাধুর্য অনেকাংশে খর্ব হয়েছে | মন্ডপের ভেতর কিন্তু খুব সূক্ষ্ম কাঠের খোদাই করা প্যানেল এখনও রয়েছে | কাঠের তৈরী পিলার ও ছাদের বিমগুলোয় বিভিন্ন জ্যমিতিক আকার ও ফুল-লতাপাতার কাজ রয়েছে | মন্দির চত্বরে ৯টি চূড়ার অষ্টভুজী রাসমঞ্চ ও একটা নাটমন্দির দেখার মতন | মন্দিরের পর দেখা যেতে পারে নৌকা তৈরীর কারখানা | বর্তমানে যদিও ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা তৈরী হয় কিন্তু তা কিভাবে তৈরী হয় তা দেখার মজাই আলাদা | বয়স্ক মানুষজনেরা বাংলায় নৌকা তৈরীর ইতিহাস সম্মন্ধে খুব সুন্দর সুন্দর গল্প বলেন যা শুনলে আনন্দ ও জ্ঞান দুইই লাভ করা যায়
Source : The above information is from my good friend Asit Mukhopadhyay. To see pics click here